
প্রকাশিত: Tue, Mar 26, 2024 12:04 PM আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:31 AM
৫৩ বছরেও স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের কাছে পৌঁছায়নি
অধ্যাপক যতীন সরকার: মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সুফল পাওয়ার কথা গণতন্ত্রের মধ্যদিয়ে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা চার মূলনীতি করেছিলাম। গণতন্ত্রের জন্যই এসব প্রয়োজন।
সমাজতন্ত্র তো আমরা কবরই দিয়েছি। এখন আমরা বাজার অর্থনীতির পাল্লায় পড়েছি। তার ফলেই স্বাধীনতার প্রকৃত তাৎপর্য নষ্ট হয়েছে। স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল জনগণের কাছে পৌঁছায় না, পৌঁছাবেও না।
সংবিধানে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছেÑ এই রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। এখন জনগণ যদি তার সেই মালিকানা বুঝে না নেয় এবং যদি মনে করে, আমরা যাদের প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছি, তারাই আমাদের জন্য সবকিছু করবে, তাহলে প্রকৃত গণতন্ত্র কোনোদিনই প্রতিষ্ঠিত হবে না। যাকে আমি প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছি, সেই জনপ্রতিনিধিরা ক্ষমতায় গিয়ে প্রতিনিধিত্বের মর্যাদার রক্ষা করে কিনা সেই বিষয়ে যদি সর্বদা সতর্ক, সচেতন থাকতাম, তাহলে গণতন্ত্রের আরও বেশি ফল আমরা পেতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেই সচেতনতা দেখাইনি, সেটাই বাস্তব সত্য।
আজ দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা পাচার কি আমি, আপনি, গ্রামের সাধারণ মানুষ করে? নিশ্চয়ই না। কিন্তু আমার-আপনার ট্যাক্সের টাকায় বিদেশে আলিশান বাড়িঘর উঠছে একেকজনের। এসব ঘটনাবলী ঘটাচ্ছে যারা তাদের সম্পর্কে যদি আমরা সচেতন না হই, সচেতন হয়ে গণআন্দোলন যদি না করি তাহলে প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যিকারের গণতন্ত্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ৩০ লাখ শহিদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
তরুণদের মধ্যেই আমার ভরসা। সংকট, সমস্যার মধ্যেও তাদের প্রতি আমার অনেক আস্থা রয়েছে। আশাবাদী। গণজাগরণ মঞ্চ যখন গড়ে উঠতে দেখেছিলাম, তখন আমি আশাবাদী ও উদ্দীপ্ত হই। কিন্তু যেকোনো কারণেই হোক, যাদের দ্বারাই হোকÑ গণজাগরণ মঞ্চটাকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে, তারা আরও সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার জন্য যেভাবে, সেসব বিষয় নিয়ে গণআন্দোলন করা উচিত, তা তারা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। তারপরও তাদের মধ্যেই আমি একটা সম্ভাবনা দেখছিÑ তরুণেরা অনেকের চেয়ে একটু অন্যরকমভাবে ভাবে। তরুণেরা তথাকথিত গণতন্ত্র, দেশে যা চলছে, তার সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে নেয় না।
আমার যদি কোনো ভরসা থাকে কারও ওপর, তা তরুণ সমাজের ওপরই। কিন্তু সেই তরুণ সমাজকে নষ্ট করছে কারা? আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এসবের বিরুদ্ধে খুব ক্ষীণ হলেও তরুণ সমাজের মধ্যে একটা নতুন চিন্তাভাবনার জাগরণ দেখা দিচ্ছে, ভরসা সেই জায়গাতেই। তরুণদের মধ্যে নতুন চিন্তার জাগরণ ঘটছে, আমার ভরসা সেখানেই। পরিচিতি : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
